Saturday, February 8
Shadow

২য় সাময়িক পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন পত্র – নবম শ্রেণী

২য় সাময়িক পরীক্ষা-২০২০ইং
নবম শ্রেণী
বিষয়ঃ বাংলা ১ম পত্র (সৃজনশীল)
সময়ঃ ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট                                               পূর্ণমান-৬০
(প্রত্যেক অংশ থেকে কম পক্ষে একটি করে মোট ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।)

ক-অংশ (গদ্য)

১। গফুর কতক্ষন চিন্তা করে বলল, “এক কাজ করনা মা, মহেশকে না হয় ধরে দিয়ে আয়। তকন রাতের বেলা আমাকে একমুঠো ফুটিয়ে দিতে পারবিনে, আমিনা?” প্রত্যুত্তরে আমিনা কিছুক্ষন চুপ থেকে ধীরে ধীরে ঘাড় নেড়ে বলল, “পারব বাবা।” গফুরের মুখ রাঙ্গা হয়ে উঠল। তাদের এই ছলনা অন্তরীক্ষের কেউ বোধ হয় লক্ষ করলেন।
(ক) ‘মহেশ’ গল্পে আমিনা কে?
(খ) গফুরের মুখ রাঙা হয়ে উঠল কেন? ব্যাখ্যা কর।
(গ) গফুর এখানে এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করতে পারত? যুক্তি সহ উপস্থাপন কর।
(ঘ) ‘তাদের এই ছলনা অন্তরীক্ষের কেউ বোধ হয় লক্ষ করলেন।’- এ অংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

২। পল্লী সাহিত্যে বাংলার সামাজিক, নৃতাত্তি¡ক, মনোবৈজ্ঞানিক এমন কি ঐতিহাসিক উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, এই বিপুল পল্লী সাহিত্য আজ বিলুপ্ত প্রায়। আজ এর ব্যাপক উর্দ্ধার ও সংরক্ষণ প্রয়োজন। শিক্ষিত শিষ্ট সমাজের নাগরিক সাহিত্যের পাশাপাশি এই সাহিত্যকে স্থান করে দিতে পারলেই আমাদের সামগ্রিক সাহিত্যের ভান্ডার পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
(ক) পল্লী সাহিত্য কাকে বলে?
(খ) পল্লী সাহিত্যের ক্ষেত্রে আমাদের পরিতাপের কারণ ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদাহরণ সহ পল্লী সাহিত্যো সামাজিক উপাদান ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) নাগরিক সাহিত্যের পাশাপাশি পল্লী সাহিত্যকে স্থান করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।

৩। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহম্মদ (সাঃ) উদার মানবিকতার আদর্শ ও অখন্ড সত্য দৃষ্টির আলোকে পৃথিবীর মানুষের সামনে তিনি নগর ও সাম্যের ধ্রুতচিত্র তুলে ধরেছেন। নবুয়ত লাভের পর থেকেই মক্কার পৌত্তলিকদের নির্মম অত্যাচার মহৎ করে তিনি সত্য প্রচারে ছিলেন অবিচল এবং অটল। বদর, ওহুদ ও খন্দকের যুদ্ধ থেকে শুরু করে নানা অবস্থায় হযরতকে রক্তাক্ত করে তুলেছিল শত্রুরা। অথচ হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর অন্তর ভেদ করে প্রার্থনার বাণী জেগে উঠেছে ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।”
(ক) পৌত্তলিক কারা?
(খ) হযরত মুহম্মদ (সাঃ) প্রবর্তিত ন্যায় ও সাম্যের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
(গ) অনুচ্ছেদে হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর যে জীবনাদর্শের পরিচয় আছে, আমাদের সমাজে তার প্রতিফলন আলোচনা কর।
(ঘ) ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।’- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

খ-অংশ (কবিতা)

৪। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন একজন মহৎ ব্যক্তিত্ব। তাঁর চরিত্রে একাধারে বীরত্ব, কোমলতা, নিষ্ঠা, ন্যায় বিচার ও সাম্যবাদী আদর্শের অনন্য সমন্বয় ঘটে ছিল। তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন। ভূত্যকেও তিনি সমান মর্যাদা দিয়েছিলেন। আপন সন্তানকেও তিনি শাস্তি দিতে কুন্ঠিত হননি। তিনি ছিলেন সমগ্র মানবের জন্য আদর্শবান ব্যক্তি।
(ক) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার নাম কী?
(খ) ‘আপনার সন্তানকেও শাস্তি দিতে তিনি কুন্ঠিত হননি’- এই উক্তির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
(গ) অনুচ্ছেদটিতে ভৃত্যকে সমান মর্যাদা দেওয়ার যে মানসিকতা ফুটে উঠেছে বর্তমান সমাজে তার কতটুকু প্রতিফলন লক্ষ করা যায়?
(ঘ) উদ্দীপকের আলোকে খলিফার চারিত্রিক মাহত্ম্য বিশ্লেষণ কর।

৫। দিগন্ত বিস্তৃত পাংশু মেঘের জাল। বৃষ্টি এই কর্মহীন দিনে কৃষানেরা জড়ো হয়েছে মোড়লের দহ লিজে। কেউ কেউ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে মগ্ন, কেউ বা আমীর সাধুর পুঁথি পাঠ করছে, আবার কেউ বা সারিন্দা বাজাচ্ছে। বাইরে গুরু গুরু স্বরে মেঘ ডাকছে, বয়োজ্যেষ্ঠদের রূপ কথা সবাই তন্নয় হয়ে শুনছে, ভরা বাদলের বৃষ্টিঘন নিঝুম পরিবেশ আর রূপ কথার অবহ মিশে গিয়ে যেন আরেক কল্পলতার জন্ম দিচ্ছে।
(ক) ‘দহেলিজ’ শব্দটির অর্থ কী?
(খ) রূপ কথা বলতে কী বুঝ?
(গ) তোমার দেখা বর্ষণমুখর দিনের গ্রামের মোড়লের বৈঠক খানার কর্মকান্ডের বিবরণ দাও।
(ঘ) ‘পায়ে জড়াইয়া পথে দাঁড়ায়াছে আজিকার মহা কাল।’ পংক্তিটির মর্মার্থ লেখ।

৬। ১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে শাসন ও শোষনের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের তারুণ্য শক্তি অভয় মন্ত্রে দীক্ষালাব করেছিল। নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিস্ঠার যে স্বাধীনতা সংগ্রাম তা-ই চিরায়ত কল্যাণের পথ। নবযুগের উদাত্ত আহবানে আত্মোৎসর্গিত এই নবীন প্রাণ সর্ব যুগেই সংগ্রামের পথ বেড়ে নেয়। জয় তাদের সুনিশ্চিত।
(ক) কার আহবানে নবীনকে সাড়া দিতে হয়?
(খ) কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য নবীনকে উদ্বুদ্ধ হতে হয়? ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের সঙ্গে তোমার পঠিত ‘জয় যাত্রা’ কবিতার সাদৃশ্যগুলো চিহ্নিত কর।
(ঘ) চিরায়ত কল্যাণের পথ কোনটি? এ যাত্রায় নবীনদের জয় সুনিশ্চিত হয়ে ওঠে কীভাবে? তোমার মতামত তুলে ধর।

গ-অংশ (সহপাঠ)

৭। তবুব্যাপরিকে ওপরে উঠতে দেখে ক্ষেপে গেল সখিনা। চিৎকার করে ওকে শাসাতে লাগল সে, খবরদার, খবরদার ব্যাপারি জানে খতম কইরা দিমু। বলে ছোট ছোট ডাল পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে ওর ঘাড়ের ওপর ছুড়ে মারতে লাগল সে। তার পর এক লাফে দিঘির জলে ঝাঁপিয়ে পড়ল মেয়েটা। অনেক কষ্টে দিঘির পানি থেকে পাড়ে তুলে আনা হল তাকে।
(ক) সখিনা কে?
(খ) ‘চাচা হয় সে। সুতরাং অধিকারের প্রশ্ন আসে না।’ কীসের অধিকার?
(গ) খবরদার খবরদার ব্যাপারি জানে খতম কইরা দিমু।’ নিজের চাচার প্রতি সখিনার এ দুর্ব্যবহারের পেছনে কারণ কী?
(ঘ) সখিনার ভূত ছাড়াতে গিয়ে গণুমোল্লার কবিরাজি তোমার নিজের ভাষায় তুলে ধর।

৮। তবু কিছু কাজ আছে স্যার, যা বিবির সামনেও বে-পর্দা করতে নেই। তা ছাড়া শহরে কারফিউ লাগানো থাকতে এখানে গার্ডের কোন দরকার ছিল না। কটাই বা লাশ আর। গোর খুঁড়া লোক নিয়ে আমি একলাই সব সাফ সুদ করে রাখতাম। তার ওপর শীতের মধ্যে আপনি কষ্ট করে ….।
(ক) উদ্ধৃতাংশের রচয়িতা কে?
(খ) শহরে কারফিউ জারির কারণ কী ছিল?
(গ) কারফিউ বলবৎ থাকা সত্তে¡ও ‘নেতা’ কী কারণে পুলিশ অফিসারের উপর লাশ পুঁতে ফেলার দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারলেন না কেন?
(ঘ) ‘তবু কিছু কাজ আছে স্যার যা বিবির সামনেও বেপর্দা করতে নেই।”- হাফিজের এই উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর।

৯। ‘খপ কইরা মা ওলা বিবির একখানা হাত ধইরা দিলেন জোরে এক আছাড়। আছাড় খাইয়া একখানা পা ভাইঙ্গাঁ গেল ওলা বিবির। আহা সব খোদার কুদরত। মকবুল সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, একখানা পা দিয়া দুনিয়াডারে জ্বালাইয়া যাইতাছে বেটি। দুই পা থাইকলে তো দুনিয়াডারে এক দিনে শেষ কইরা ফালাইত।
(ক) ‘খপ কইরা মা ওলা বিবির একখানা হাত ধইরা দিলেন জোরে এক আছাড়।’ কথাটি কে বলেছে?
(খ) ওলা বিবি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(গ) উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত ওলা বিবির প্রতিরূপ বর্তমান সমাজে কীভাবে উপস্থিত দৃষ্টান্তসহ উল্লেখ কর।
(ঘ) এক পা এবং দুই পা প্রসঙ্গে মকবুলের উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *