প্রথম সাময়িক পরীক্ষা-২০২০
নবম শ্রেণী
বিষয়ঃ কৃষি শিক্ষা
সময়- ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পূর্ণমান- ৪
(মোট ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।)
১। বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি সমভাবাপন্ন। এদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজমান। জলবায়ুর কারণে এ দেশে বিভিন্ন ধরনের কৃষি মৌসুম বিদ্যমান। কৃষি মৌসুমে আবহাওয়া, জলবায়ু ও ফসল চক্রের সমন্বয় ঘটলে ফসলের উত্তম ফসল আশা করা যায়। কৃষি মৌসুমের মধ্যে খারাপ মৌসুম খুবই দীর্ঘ। এ মৌসুমে কৃষক বিভিন্ন প্রতিক‚ল অবস্থা অতিক্রম করে জমিতে ফসল উৎপাদন করে।
(ক) খরিপ মৌসুম কী?
(খ) আবহাওয়াও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
(গ) খরিপ মৌসুমে প্রতিক‚ল অবস্থা প্রতিরোধ কার্যকর পদক্ষেপগুলো বর্ণনা কর।
(ঘ) খরিপ মৌসুমে ফসল উৎপাদনে জলবায়ুর প্রভাব লটারির মতো” এ স্বপক্ষে তোমার যুক্তি প্রদর্শন কর।
২। মাটি প্রকৃতপক্ষে একটি মিশ্র পদার্থ। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বৈবকনা, পানি, বায়ুর মিশ্রণে মাটি গঠিত। আদর্শ মাটিতে প্রধানত চারটি উপাদান থাকা আবশ্যক। এগুলো হলো খনিজ বা অজৈব পদার্থ, জৈব পদার্থ, পানিও বায়ু। প্রত্যেকটি উপাদানই মাটির জন্যে এবং মাটিতে ফসল ফলানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন উপাদান যদি কম পরিমানে থাকে তবে মাটি তার স্বাভাবিক গুনাগুন হারায় এবং ফসল উৎপাদন ভাল হয় না।
(ক) জৈব পদার্থ কাকে বলে?
(খ) খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থের পার্থক্য লেখ।
(গ) পানি কিভাবে মাটির গুনাগুন রক্ষা করে বর্ণনা কর।
(ঘ) মাটির বৈশিষ্ট্য ফসল উঃপাদনের উপযোগী রাখতে হলে কী করা উচিত বলে তুমি মনে কর?
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর ছিল সুন্দরবনে। ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে পরিচিত সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধিশালী। তারা সেখানে কটকা, কাঠখালী, শরনখোলা হিরনপয়েন্ট প্রভৃতি স্পষ্ট পরদর্শন করেন। সুন্দরবনের খোলা পরিবেশ, নিমল বাতাস, প্রবাহমান নদী, বিচিত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদরাজি ও বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী দেখে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট মুগ্ধ হয়েছিল। বন, বনভূমি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্যে প্রণীত বনবিধি এবং বন্যপ্রাণী বিধি সম্পর্কেও তারা সেখানে জানতে পেরেছিল। বিভিন্ন কারণে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন জানতে পেরেছিল। বিভিন্ন কারণে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন, শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করে।
(ক) সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ কোনটি?
(খ) সুন্দরবনকে কেন ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় কেন?
(গ) বিভিন্ন কারণে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন কারণ সমূহ চিহ্নিত কর।
(ঘ) শিক্ষার্থরিা সুন্দরবন, বনভূমি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য প্রণীত বনবিধি এবং বন্যপ্রাণী বিধির যেসব বিষয় জানতে পেরেছিল সেগুলো আলোচনা করে বাস্তবায়নের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
৪। বাংলাদেশের এক উল্লেখযোগ্য মৎস্য উৎপাদন ও আহরণক্ষেত্র হলো জলাশয়। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশে মৎস্য সম্পদের ক্ষেত্র বিস্তৃত। এ দেশে বিভিন্ন ধরনের জলাশয় বিদ্যমান। এ সব জলাশয়ের মধ্যে মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মুক্ত জলাশয়ের মাছের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে এ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।
(ক) মুক্ত জলাশয় কী?
(খ) জলাশয় কত প্রকার কী কী?
(গ) মুক্ত জলাশয়ে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ হ্রাস দূরীকরণের উপায়গুলো আলোচনা কর।
৫। লিমন তার বাড়ির পাশে একটি মুরগির খামার স্থাপন করে। সে ও তার ভাই দুজন মিলে নিয়মিত খামারটি দেখাশোনা ও পরিচর্যা করে। খামার সম্পর্কে তার নিজস্ব জ্ঞান আছে। তাছাড়া স্থানীয় কৃষ্টি কর্মকতা বিভিন্ন ব্যাপারে তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুরগীর ডিম ফুটানোর জন্যে তার একটি কেরোসিন ইনকিউবেটর আছে। স্থানীয় ব্যাংক থেকে কিছু ঋণ নিয়ে সে একটি ক্রয় করে। ঋণের টাকা সে নিয়মিত শোধ করে থাকে। এ জন্যে সে ডিম এবং মুরগির বাচ্চা বাজারে ন্যায্যমূল্য বিক্রির জন্যে লোক ঠিক করে রাখে।
(ক) ইনকিউবেটর কী?
(খ) ডিম ফুটানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও ইনকিউবেটর পদ্ধতির পার্থক্য নির্ণয় কর।
(গ) ইনকিউবেটরে ডিম ফুটানোর জন্যে লিমনের ডিম নির্বাচন পদ্ধতিগুলো চিহ্নত কর।
(ঘ) ইনকিউবেটরে ডিম ফুটানোর পদ্ধতি বর্ণনা কর।
৬। বাবুল নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর হয়েছে তিনি তাঁর গ্রামে একটি গরুর খামার স্থাপন করেছেন। গ্রামবাসীর দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটানোই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু এতদিন তিনি তাঁর খামারে স্থানীয় জাতের গরু ব্যবহার করে আসছিলেন বলে উৎপাদিত দুধ ও মাংস চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ছিল। তাই বর্তমানে তিনি সংকরায়ন পদ্ধতিতে তাঁর খামারের গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়েছেন।
(ক) সংকরায়ন পদ্ধতি কী?
(খ) স্বাভাবিক প্রজনন বলতে কী বুঝ?
(গ) স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রজনন দেশি ষাঁড় ব্যবহার করা উচিত নয় কেন?
(ঘ) বাবুল তাঁর খামারের গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার মুল্যায়ন কর।
৭। ফরিদা অসুস্থ নানিকে দেখার জন্যে নানা বাড়িতে যায়। অসুস্থ নানি গত দু’দিন থেকে গাভীটি দোহন করতে পারছে না। ফরিদা নিয়ে তার নানা দুধেল গাভী দোহনের জন্যে প্রয়োজনীয় উপকরণসহ বাড়ির উটানে যায়। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো দুধ তার সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়।
(ক) সাধারণত কয়টি পদ্ধতিতে দুধ দোহন করা হয়?
(খ) ফরিদার নানা কাক্সিক্ষত পরিমাণে দুধ না পাওয়ার মুখ্য দুটি কারণ বর্ণনা কর।
(গ) উল্লিখিত পরিস্থিতিতেকী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গাভীটি থেকে উপযুক্ত পরিমাণে দুধ পাওয়া যেতে পারে? বর্ণনা কর।
(ঘ) ফরিদা দৃষ্টিতে ‘দুধ দোহন একটি কারিগরি প্রক্রিয়া উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।